সুন্দরবনে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা ফলে অসহায় বনজীবীরা

Sundarbans 2025 update

সুন্দরবনে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা – পহেলা জুন থেকে আগস্ট

২০২৫ সালের জুন থেকে শুরু হয়ে টানা তিন মাস সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বন বিভাগ। মূলত মাছ, কাঁকড়া, ও অন্যান্য বন্য প্রাণীর প্রজনন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এ নিষেধাজ্ঞার কারণে বিপাকে পড়েছেন হাজারো বনজীবী, যারা জীবিকার জন্য প্রত্যক্ষভাবে এই বন নির্ভর।

প্রতিবছর জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে প্রবেশ, মাছ ধরা এবং কাঠ বা মধু সংগ্রহ পুরোপুরি নিষিদ্ধ থাকে। ফলে যারা কাঁকড়া ধরেন, মাছ আহরণ করেন বা মধু সংগ্রহ করেন—তাঁরা এই সময় কোনো আয়ের উৎস না পেয়ে পরিবার নিয়ে চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়েন। সরকার প্রতি বছর কিছু সহায়তা দিলেও তা অপ্রতুল এবং অনেক সময় তা সময়মতো পৌঁছায় না। বনজীবীরা বলছেন, “আমরা এই নিষেধাজ্ঞাকে সম্মান করি, কিন্তু বিকল্প কোনো আয়ের পথ না থাকলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।” বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রক্ষা ও সংরক্ষণের স্বার্থে নিষেধাজ্ঞা জরুরি হলেও এর সাথে সাথে বনজীবীদের জন্য বিশেষ ভর্তুকি, বিকল্প কর্মসংস্থান বা প্রশিক্ষণ কর্মসূচি জরুরি।

সুন্দরবন দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশগত সম্পদ, কিন্তু যারা এটিকে ঘিরে বেঁচে থাকেন—তাঁদের জীবন-জীবিকার নিশ্চয়তাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তাই একদিকে সংরক্ষণ, অন্যদিকে মানবিক সহায়তা—এই দুইয়ের সমন্বয়েই টেকসই সমাধান সম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *